“चतुररत्रिक कुर्य्दन्तर्मध्ये वहि क्रम्त्। दव चतुरस्तद्दिककेअग्वक्रसिद्धये॥८२॥
दन् प्रत्येक चतुररसम्गमेउ मध्ये च। भिजिद्युक्त्तस्त्र् स्थ्प्य् स्यु सप्त सप्त गअन्थ्॥८३॥
दग्र्द्मध्म निर्गत्यततोन्तिकस्थदएन। एव पुन प्रवेओ निर्गमन प्रोक्त्तवच्च गअनमिह॥”८४।।
কালচক্র বিচার পদ্ধতি প্রাচীন আর্য্যসভ্যতা ও তিব্বতীয় সভ্যতার প্রত্যক্ষ নিদর্শন। গৌতমবুদ্ধ তাঁর জীবদ্দশার শেষ ভাগে “কালচক্র” সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন এবং, এই জ্ঞান তিনি রাজা সুচন্দ্রকে দিয়েছিলেন।
‘কালচক্র’ হলো জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিস্তৃত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নক্ষত্রগুলির ব্যবহারের গভীরতা দেখানোর জন্য নির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। নক্ষত্রের ব্যবহারের ভিত্তি ও শ্রেণিবিন্যাসের পূর্ণ উপলব্ধির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
‘কালচক্র’ বৌদ্ধ তন্ত্র জ্যোতিষের একটি বিস্তৃত পদ্ধতি। সাধারণ ব্যবহারগুলির প্রসন্ন মার্গ এবং জাতক পারিজাত গ্রন্থের মতো সাধারণ গ্রন্থগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি একটি সম্পূর্ণ তন্ত্র গ্রন্থ, যার নাম “কালচক্র তন্ত্র”। এই তন্ত্রটি পাঁচটি বই নিয়ে গঠিত। প্রথম বইটি বাইরের কালচক্রের উপর এবং এতে জ্যোতিষের প্রচুর তথ্য রয়েছে। কালচক্র অর্থে সময়ের চক্র, এটি আমাদের নিজের মধ্যের প্রায় একটি সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডার। আক্ষরিক অর্থে ‘কাল’ মানে ‘টাইম / সময়’ এবং ‘চক্র’ মানে ‘হুইল / চাকা’। দ্বিতীয় অধ্যায়টি অন্তঃস্থ কালচক্রের সাথে সম্পর্কিত এবং জ্যোতিষের তুলনায় নাড়ী (শক্তি চ্যানেল) এবং প্রাণের গতিবিধি সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। তৃতীয় গ্রন্থটি কালচক্র মার্গে তান্ত্রিক দীক্ষা নিয়ে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রন্থে সাধনা ও ধ্যানের সাথে জড়িত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এই কালচক্র তন্ত্রটি কয়েকশ বছর আগে তিব্বতে অনুবাদ করা হয়েছিল এবং তিব্বতীয় পাঠ্যের কিছু অংশ তিব্বতীয় বৌদ্ধ ভাষ্য দিয়ে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। মূল সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে এখনও কোনও সরল অনুবাদ হয়নি।
কালচক্রের মধ্যে ৭২২ উপাস্য দেবতা রয়েছে (৭২০ প্লাস শিব এবং দুর্গা)। এগুলি হঠযোগ গ্রন্থে উল্লিখিত ‘৭২০০০’ নাড়ীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত ও পাশাপাশি জ্যোতিষ শাস্ত্রে “ডি60” -এর ৭২০ টি ষষ্ঠীয়াংশ পরাশর মতানুসারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বর্গ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। পদ্মগুলিতে ৭৮ টি দেবদেবীর দ্বারাই দু’বার গণনা করা হয় (৭৮ x ২ = ১৫৬)।৷ — ক্রমশ