Ardhamatra (अर्ध-मात्रा) [from “ardha” half + “matra” a metrical unit] Half a short syllable.


কালের সূক্ষ্মতম অবয়বের নাম ‘লব’। ১ লব = ০.১১ মি.লি. সেকেন্ড। পদ্মের একটি দল ভেদ করিতে যতটা সময় লাগে তাহার নাম ‘লব’।
৮বিট = ১বাইট। ১ বাইট ২৫৬ স্থরে তথ্য উপস্থাপন করতে পারে। ১ বাইট = ১ অক্ষর। ১০ বাইট = ১টি শব্দ। ১০০ বাইট = ১টি বাক্য।
স্থুল বর্ণের উচ্চারণ কালকে ‘মাত্রা’ বলা হয়। সৃষ্টির উৎসই ‘বিন্দু’, আবার, অসীমের প্রবেশ-দ্বার হইল ‘বিন্দু’। চরম আনন্দাবস্থায় চিত্ত বৃত্তি-শূণ্য হয়, ইহাই গুপ্ত রহস্য। পঞ্চ-শূণ্যের প্রথম-শূণ্য হইল ‘বিন্দু’। পূর্ণ বিন্দুর বেগের মাত্রা-ই হইল ‘অর্দ্ধ-মাত্রা’। তাহার পর, ‘অর্দ্ধ-চন্দ্র’ ইহার মাত্রা = ১/৪মাত্রা। ইহার পর, ‘নিরোধিকা’ ইহার মাত্রা = ১/৮মাত্রা। তাহার পর, ‘নাদ’ ইহার মাত্রা = ১/১৬মাত্রা। তাহার পর ‘নাদান্ত’ ইহার মাত্রা = ১/৩২মাত্রা।
ইহার পর, ‘শক্তি-স্থান’ ইহার মাত্রা = ১/৬৪মাত্রা। তাহার পর, ‘ব্যাপিনী’ ইহার মাত্রা = ১/১২৮মাত্রা। তাহার পর, ‘সমনা’, ইহার মাত্রা = ১/২৫৬মাত্রা। ইহার পর ‘উন্মনা’, ইহা মনের অতীত তাই উন্মনার উচ্চারণকাল নাই বলা যাইতে পারে।
শ্রীচক্রে আমরা দেখিতে পাই – চারিটি বৃহৎ ত্রিভূজ উর্দ্ধমুখী যাহাকে শিব-ত্রিভূজ বলা হয় ও পাঁচটি বৃহৎ ত্রিভূজ নিম্নমুখী যাহা শক্তি-ত্রিভূজ রূপে রহিয়া উভয় উভয়ের সহিত যৌগিক অবস্থা বা যুগ্মাবস্থা সৃষ্টি করিয়াছে। ৪টি উর্দ্ধমুখী ত্রিভূজের মোট ৪x৩ = ১২টি শূণ্য স্থানের বা দ্বাদশ রাশি নির্দ্দেশ করিতেছে, আর, ৫টি নিম্নমুখী ত্রিভূজ ৫x৩ = ১৫টি তিথি বা চন্দ্রকলা নির্দ্দেশ করিতেছে। আর, এই উভয়ের যোগফল ১২+১৫ = ২৭টি খণ্ডরূপ “নক্ষত্র” নির্দ্দেশ করিতেছে। পুনরায়, শিব ও শক্তি ত্রিভূজ গুলি একে অপরের মধ্যে প্রবেশ করার বা যুক্ত হওয়ার কারণে, – সর্ব্বমোট ৪৩টি ত্রিভূজ সৃষ্টি করিতেছে।
দুইটি রেখার ছেদ-বিন্দু গুলিকে “সন্ধি” বলা হয়। শ্রীচক্রে এই রূপ ২৪টি সন্ধি আছে। ২৪ঘন্টায় ১অহোরাত্র। এই সন্ধিক্ষণ গুলি শিব-শক্তি যুগ্মাবস্থার নির্দ্দেশক। ইহাই আবার, মহাকালের ২৪টি বাহু।
তিনটি রেখার ছেদ-বিন্দু গুলিকে “মর্ম-স্থান” বলা হয়। শ্রীচক্রে এই রূপ ১৮টি মর্ম-স্থান বিন্দু আছে, যেখান থেকে ৬টি (রিপু) রেখা বেরিয়েছে। মর্ম-স্থান গুলি জীব দেহে (৯x২ = ১৮) অনুলোম-বিলোমে ১৮টি শক্তি-কেন্দ্রের নির্দেশক। সুতরাং, ১৮x৬ = ১০৮ সংখ্যা পাওয়া গেল, ইহাই জীবের বিভ্রম বা অজ্ঞতার সংখ্যা।
বর্ণমালার ৫৪ বর্ণ, অনুলোম বিলোমে ৫৪x২ = ১০৮ সংখ্যা। আরও বিশদ ভাবে বলিলে, – ‘অ’ হইতে ‘অঃ’ – পর্য্যন্ত ১৬টি স্বরবর্ণ, ‘ক’ হইতে ‘হ’ – পর্য্যন্ত ৩৩টি ব্যাঞ্জন বর্ণ ও ৫টি মেরু-বর্ণ (১৬+৩৩+৫) = ৫৪ বর্ণ X ২ (অনুলোম ও বিলোমে) = ১০৮ সংখ্যা। ইহাই বীজ-মন্ত্র জপের বা মালা জপের সংখ্যা। প্রাচীন ভারতে সত্যদ্রষ্টা ঋষিগণ আত্ম-তত্ত্ব উপলব্ধি করিয়া সাধণপন্থার সূত্র নির্নয় করিয়াছিলেন। কিন্তু, কালক্রমে আজ তা লুপ্তপ্রায় হইয়া গিয়াছে। কিছু কিছু সাধণের প্রণালী ‘বীজমন্ত্র’ – রূপে গুপ্ত ভাবে রক্ষা করা রহিয়াছে।

Published by BIOS2018

I, Dr. Asis Kumar Ray, founder President of Bengal Institute of Oriental Studies.

Leave a Reply

Please log in using one of these methods to post your comment:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

%d bloggers like this: